রাজনৈতিক সংঘাত বনাম সাম্প্রদায়িক সহিংসতাঃ *~*~*~*~*~*~* - এম ওমর ফারুক আজাদ

লিখেছেন লিখেছেন আপোষহীন জনতা ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:১২:৩০ সকাল



মিডিয়ায় আসার জন্য ও লোকমুখে আলোচিত হওয়ার জন্য কত জনের কত দহরম মহরম।উল্টা পাল্টা কোন মন্তব্য করে কারো ব্যাক্তি ও ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর আঘাত করে যেভাবেই হোক তার কান্ড কির্তী যেন অফেরত বায়না।

তেমনি মখা আলমগীর যাকে অনেকেই চিনতনা কিন্তু নাড়া চাড়া তত্ব আবিষ্কার করে,সুরন্জিত বাবু কালো বিড়াল হয়ে,আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক হয়ে হটাত আলোচনায় এসে গেলেন।

ইদানিং আলোচিত আরেক ছদ্ম বেশী আলেমের নাম হল মতিউর রহমান মাদানি।তার আলোচিত হবার হাতে খড়ি হল সকল দেওবন্দি আলেম হতে নিয়ে হকপন্থীদের নিয়ে বিষোদগার করা,তার মতবাদের বিপরীত সকলকে কাফের,মুশরিক,বেদাতি,নাস্তিক ইত্যাদি গালিব্যান্জক সর্বনাম দ্বারা বথসনা করা।

কালকে টিভি পর্দায় আরেক আলোচিত ব্যাক্তিকে দেখলাম।নাম ডঃ সলিমুল্লাহ।তার হাতেখড়ি হল তিনি একজন তাত্বিক।ইদানিং সংখ্যালগুদের উপর চলে আসা সহিংসতা নিয়ে তিনি বাংগালী মুসলিমদের উপর একটি তত্ব দিলেন তা হল,"াদিগতভাবে এদেশের মুসলমানের সহানুভুতিশীল আর তার কারণ মুসলিম হিসেবে নয় বরং ভৌগলিক সিমারেখার দিক দিয়ে এই সহানুভুতিশীলতা।কারণ আবাহমান কাল থেকে এই ভুখন্ডের সকল মানুষদের মাঝে সম্প্রদায়িক সপ্রিতী বিদ্যমান" তার এই তথ্যটা শুনে বুঝতে পারলাম আসলে তিনি একজন শিক্ষিত মুর্খ।

আদিম বাংলার ইতিহাস যদি দেখা হয় তাহলে দেখা যাবে ভারতভর্ষের মানুষ অধিকাংশ হিন্দু ধর্মালম্বী ছিল।কিন্তু হিন্দু সমাজে কৌলিণ্য প্রথা বংশগত শ্রেণিভেদ ইত্যাদিতে অতিষ্ট হয়ে মানুষ প্রথমে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি ঝুকে পড়ে পরে যখন মুসলিম বনিক ও ধর্ম প্রচারকগন আসতে থাকে তখন মানুষ ইসলামের ভার্তৃত্বের বন্ধন,ভালবাসা,সৌহার্দতা দেখে দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে।মানুষ দেখতে পায় হিন্দু ধর্ম মূল মাউষকে কৌলিণ্যতা আর শ্রেণি ( ব্রাম্মণ,ক্ষত্রীয়,শুদ্র,বৈষ্য)বূঈষম্যের মাধ্যমে নিপিড়ণ করছে এর বিপরীতে ইসলাম হল ভালবাসা,সহানুভুতি আর ভ্রাতৃত্বের ধর্ম।যেখানে শ্রেণিভেদ,বর্ণভেদের কোন স্থান নেই।এভাবে মানুষ হিন্দু থেকে বৌদ্ধ এর পর মুসলিম হয়ে একটি সভ্য,সহানুভুতিশীল জাতিতে পরিণত হয়।

এতিহাসের এই বাস্তবতার দিক দিয়ে বলা আসলে বাংলার মুসলমানদের মনে যে ভালবাসার সন্চার,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর সহানুভুতি তা একমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে বাংগালি হওয়াতে নয়।

তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন এসব সহিংসতার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।বরং এগুলো রাজনৈতিক সহিংসতা।মিডিয়াও দুমুখো নীতির মাধ্যমে কখনো বলছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আবার কখনো বলছে রাজনৈতিক সহিংসতা।

তবে নির্বাচন পরবর্তি বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলাটা একটি প্রফাগান্ডা আর ইসলামবিরুধিদের এজেন্ড গিরি ছাড়া কিছুই না।কারণ এখানে সম্রদায় বলতে মুসলিমদেরকে বুঝায়।কিন্তু যেসব ঘটনা হল।সব সুলো রাজনৈতিক পরিচয়ে,নির্বাচনি পরাজয়ের রেশে।না হয় কোনদিন হিন্দুদের দুর্গা পুজার অনুষ্টানে শোভা যাত্রা,খৃষ্টানদের বড় দিনের শভা যাত্রাতেতো এই পর‍্যন্ত কোন সহিংসতার নজির নেয়।সাম্প্রদায়িক সহিংসতাতো সাম্প্রদায়িক অনুষ্টানে হওয়ার কথা।

তাই এই সব রাজনৈতিক সহিংসতাকে যারা সাম্প্রদায়িকতার প্রলেপ দিতে আধাজল খাচ্ছে তারা এন্টি ইসলামের মিডিয়া খ্রুসেড়ের ভুমিকায় নেমেছে।

MOFA

বিষয়: বিবিধ

১০৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File